ঈদ উপলক্ষে বরিশালে অগ্রিম বাস ও লঞ্চের টিকিট বিক্রি শুরু

সিটি নিউজ ডেস্ক:: শুরু হয়েছে ঈদুল  আযহা উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম। আর এবারে এখন পর্যন্ত চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে টিকিট, কাউন্টারগুলোতে নেই তেমন কোন ভিড়।

জানাগেছে, রোববার (১৯ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত লঞ্চ কাউন্টারগুলোতে একযোগে শুরু হয় অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম। তবে এবার কোন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অন্যান্য বছরের মতো অগ্রিম বুকিং স্লিপ জমা নিয়ে লটারির ব্যবস্থা করেনি।

এবারে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে লঞ্চের কেবিন ও সোফার টিকিট দিচ্ছে সকল কোম্পানিগুলো। এছাড়া তৃতীয় শ্রেনি অর্থাৎ ডেকের যাত্রীদের টিকিট প্রতিবারের মতো লঞ্চে উঠেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অগ্রিম টিকিট নিতে আসা যাত্রী ও তাদের স্বজনরা জানান, এবারে চাইলেই এখন পাওয়া যাচ্ছে লঞ্চের অগ্রিম কেবিনের টিকিটি। লঞ্চ কাউন্টারগুলোও প্রতিবারের থেকে অনেটাই ফাঁকা।

ঈদ উপলক্ষে বুকিং দিতে এসে সাথে সাথে টিকিটই এবারে পেয়েছেন। আর এ কারণে খুশি যাত্রীরা। সুন্দরবন নেভিগেশনের বরিশাল কাউন্টারের ম্যানেজার মোঃ জাকির হোসেন জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবের গেলো কয়েকমাসে ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে যাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।

তার ওপর এবার ঈদে যাত্রীদের যাতায়াতের ইচ্ছেও কম। তাই অগ্রিম টিকিটের চাহিদা নেই বললেই চলে, এ কারণে ভিড়-বাট্টা কম। খালি কাউন্টারেই তাদের বসে থাকতে হচ্ছে।  কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মোঃ বেল্লাল হোসেন জানান, তারা বিগত সময়ের মতোই আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ঈদের লঞ্চের কেবিনের টিকিট বিক্রি শুরু করেছেন।

যতক্ষন পর্যন্ত কেবিন খালি থাকবে ততক্ষন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালু থাকবে। তবে দালাল রোধে যাত্রীদের নিজেদের কেবিনের জন্য যোগাযোগ করতে হবে। উল্লেখ্য ঢাকা-বরিশাল নৌপথে ২৪ টির মতো বেসরকারি লঞ্চ চলাচল ও সরকারি ৫ টি জাহাজ ও স্টীমার চলাচল করে।

তবে এবারের ঈদে যাত্রীদের চাপের ওপর নির্ভর করবে স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় লঞ্চের সংখ্যা।  এদিকে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাস মালিক-শ্রমিকদের বাড়তি কোন প্রস্তুতি এখনো নিতে দেখা যায়ীন।  রোববার পর্যন্ত ছিলোনা অগ্রিম টিকিট বিক্রির আয়োজন।

আর ঈদযাত্রায় বিগত সময়ের মতো যাত্রীচাপ বেশি একটা না থাকায় শঙ্কায় বাড়তি বাস যোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে মালিক সমিতি। বাস মালিক ও শ্রমিকরা বলছেন, প্রতি বছর মাণুষ যেভাবে কোরবানির ঈদে রাজধানী থেকে সাধারণ মানুষ বাড়ি ফিরতো কিংবা বরিশাল নগর থেকে নিজ গ্রামে ফিরতো, এবারে তেমন কোন আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না।

আবার গেলো কয়েকমাস ধরে গণপরিবহন বিশেষ করে বাসে যাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এদিকে অনেক মানুষ করোনার কারণে এবং কর্মহীন হওয়ার শঙ্কায় আগে ভাগেই গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছেন। তাই ঈদের আগে এমন সময়টাতে যেমন অগ্রিম টিকিটের জন্য একটা ঝাপাঝাপি ভাব থাকতো তেমন নেই বলে জানিয়েছেন মালিক ও শ্রমিকরা।

নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাসরেক বাবলু বলেন, দুরপাল্লার বাসের কোম্পানিগুলো তাদের সার্ভিস প্রদানের জন্য অনলাইনে টিকিট বিক্রি করছে।

কিন্তু বরিশালের অভ্যন্তরিন রুট গুলোতেও এবার আমাদের তেমন কোন আয়োজন নেই। যাত্রীদের আগ্রহ কম থাকায় ঈদুল আজহায় আমাদের কোনো ব্যস্ততাও নেই।  এখন যেভাবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলছে, ঈদেও সেভাবেই চলবে।

তিনি আরও বলেন, আগে ২০ মিনিটে একটি গাড়ি ভরে যেতো, এখন সেই বাসে নিচ্ছি অর্ধেক যাত্রী। সেই অর্ধেক যাত্রী অর্থাৎ ২৫ জন যাত্রীও হচ্ছে না প্রতি ১ ঘন্টায়। যাত্রীর চাপ থাকলে ট্রিপ বাড়ানোর যাবে, তবে তার সম্ভাবনা দেখছি না।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin