সিটি নিউজ ডেস্ক:: ইসলাম মানুষকে উন্নত চরিত্রের যেসব শিক্ষা দেয়, তার মধ্যে একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রতিশ্রুতি রক্ষা। আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন চরামদ্দী ইউনিয়নের মরহুম মজিবুর রহমান (জমাদ্দার) তার বড় ছেলে মঈন জমাদ্দারকে। তার বাবার মৃত্যুর আগে তাকে শিখিয়েছে,কারো সাথে ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি দেয়ার পূর্বে অন্তত তিন বার ভেবে নিবা যাতে তোমার দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না হয়।তারই ধারাবাহিকতায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের ৩০টি মসজিদে আর্থিক অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেন যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান মঈন।
গত শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) ৪র্থ তম মসজিদে আর্থিক অনুদান দিতে বরিশাল থেকে মটর সাইকেল যোগে চরামদ্দি ইউনিয়নে যাওয়ার পথে দিনারের পুল নামক স্থান অতিক্রম করার সময় রাস্তার বালুকণা নাজমুল হাসান মঈনের চোখে গেলে তিনি মারাত্বক ভাবে আহত হন। আহত যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান মঈন, এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত বরিশাল চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে তিনি তখনই নিজের কথা চিন্তা না করে ঝুঁকিপূর্ণ চোখে বেন্ডিস সহ চরামদ্দি ইউনিয়নের বাদল পাড়া জামে মসজিদে হাজির হন।তার দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদকের হাতে নগদ ৫হাজার টাকা তুলে দেন।
এছাড়াও তিনি ভবিষ্যতে এই মসজিদের সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।পরবর্তীতে নামাজ শেষে নাজমুল হাসান মঈনের সুস্থতা কামনায় দোয়া করানো হয়।উল্যেখ্য,নাজমুল হাসান মঈন চরামদ্দী ইউনিয়নের মরহুম মজিবুর রহমান (জমাদ্দার) এর বড় ছেলে।১৯৯৬ সাল হতে ছাত্র রাজনীতিতে পা রাখেন। সেখান থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল, মিটিং ও আন্দোলন সংগ্রামের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন। ২০০১ সালে বরিশাল নগরীর ফলপট্টি এলাকায় ছাত্রদলের ক্যাডার বাহিনী তাকে কুপিয়ে জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়।এমনকি সেই সময় হামলার শিকার হয়েও বিএনপির করা তিনটি মিথ্যে মামলার আসামী হতে হয় তাকে।এছাড়াও সেরনিয়াবাত পরিবারের রাজনীতি করার অপরাধে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ও বরিশাল মহানগর আ’লীগের কন্দলের শিকার হয়ে মামলার আসামী হতে হয়েছিল।