সামনে ঈদ তুলনা মুলক অর্ডার নেই দর্জি পারায়

ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা পছন্দের কাপড় কিনে মনের মতো পোশাক সেলাই করতে ছুটে আসতো

তুষার হোসেন তুহিন: ঈদকে সামনে রেখে বরিশালের নগরীর ছোট বড় টেইলার্স গুলোতে চরম দুশ্চিন্তা দেখা গেছে । তুলনা মুলক অর্ডার নেই। করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ও কারিগর সংকট পোশাক তৌরির অর্ডার নেই বল্লেই চলে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। করোনা মহামারি বদলে দিয়েছে তাদের সব কিছু। পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকমের টিকে থাকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন তারা। নগরীর কাটপট্টি,ফজলুল হক এভিনিউ রোড,চক বাজারের টেইলার্স গুলোতে কথা বলে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। নগরীর হযরত শাহ পরাণ সড়কের টেইলার্স মালিক মুক্তা বেগম নামে একজন বলেন, আগে ঈদ ঘনিয়ে আসলেই কাজের অনেক ব্যস্ততা বাড়তো দর্জিপাড়ায়।

এবার তেমন কাজ নেই। অপর দিকে ফজলুল হক এভিনিউ ও কাটপট্টি রোডের কয়েকটি টেইলার্স মালিক জানায় ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা পছন্দের কাপড় কিনে মনের মতো পোশাক সেলাই করতে ছুটে আসতো দর্জিপাড়ায়। দেরি হলেই হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে দর্জি দোকানের দরজা। তাই সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই নিজের ঈদের পোশাকটি হাতে পাওয়া নিশ্চিত করতে সবাই ছুটে আসতো দর্জির দোকান গুলোতে। আর ক্রেতাদের চাহিদা পূরণের জন্য দর্জিপাড়ায় আমাদের কত রাত নির্ঘুম কাটাতে হত। কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতি সবকিছু বদলে দিয়েছে। শুধু টিকে থাকার সংগ্রাম চলছে অবিরাম। নগরীর বিভিন্ন দর্জির দোকানে ঘুরে সরেজমিনে কথা হয় কারিগর ও ক্রেতাদের সাথে। তারা বলছেন, অনেকেই আছেন যারা দোকানের তৈরি পোশাক বা রেডিমেড ড্রেস পছন্দ করেন না।

এ ধরনের পোশাকের ফিটিং মনমতো হয় না। মূলত তাদেরই গন্তব্য দর্জিপাড়ায়। তাছাড়া অন্যদের সঙ্গে যেন নিজের ঈদের পোশাকটি না মিলে যায়, সে কারণেও অনেকে দর্জির কাছে ছুটে আসতেন কিন্তু এবছর করোনা মহামারীর কারণে ক্রেতা আর আগের মত আসছেনা। সবাই স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে গেছে। দর্জিপাড়ার ব্যস্ততা না থাকা নিয়ে কারিগররা বলেন, আগে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে মৌসুমী কারিগর সংগ্রহ করতেন দর্জি মাস্টার ও দোকান মালিকরা।চলতি বছর করোনা প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ও সরকারের বেধে দেওয়া লকডাউনের কারণে দোকানে আসতে পরিবহন খরচ বেশি গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া অন্য বছরের মত এবার ক্রেতাও কম থাকায় কাজের চাপ নেই। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে বেচে থাকা দুষ্কর হয়ে যাবে ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin