উজিরপুরে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সিটি নিউজ ডেস্ক ॥ সকাল সাড়ে ১০ টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায় সংযুক্ত হয়ে রামেরকাঠী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমার্স কলেজে বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি তিনি মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫০ টি মুজিব কেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও মুজিব কেল্লাসহ নির্মিত ১৭৫ টি স্থাপনার শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় সংযুক্ত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বরিশাল প্রান্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজিরপুর প্রণতি বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মেয়র বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম এমপি, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ এমপি, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, সংরক্ষিত নারী এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার, অতিরিক্ত ডিআইজি বরিশাল, পুলিশ সুপার বরিশাল মোঃ মারুফ হোসেন, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সুধী জুন, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলা থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী কতৃক উদ্বোধন হওয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র এবং ৫টি মুজিব কিল্লা রয়েছে। এছাড়া আরও ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিফলকও এ অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয়। “উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে। এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাট-বাজার হিসেবেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে।” উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধীতাবান্ধব ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ৫৬ হাজার বিপদাপন্ন মানুষ এবং প্রায় ৪৪ হাজার গবাদিপশুর জায়গা হবে। এছাড়া বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বন্যাপীড়িত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ২৩০টি দ্বিতল বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। তাতে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এবং ২৩ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল মেয়াদে ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি জেলাতে ত্রাণ গুদাম বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। “এসব স্থাপনায় দুর্যোগে তাৎক্ষণিক সাড়াদানের অংশ হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের নিমিত্তে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদকরণ করা হয় এবং দুর্যোগের অব্যবহিত পরে দুর্যোগে পড়া মানুষের মাঝে প্রাথমিক জরুরি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin