সিটি নিউজ ডেস্ক ॥ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় গুরুত্বর আহত হন আ’লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থনকারী মো. হোসেন রেজভী। আহত রিজভীকে স্থানীয়রা গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এলাকাবাসী নিশ্চিত করে, আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে আ’লীগের মনোনিত প্রার্থী কেএম মাহাবুবুর রহমান সেন্টুর নির্বাচনী প্রচারণা কাজ করেন মো. হোসেন রেজভী। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসা মাত্রাই বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন হাওলাদারের সমর্থনকারী সত্তার ফকির, বাহাদুর ফকির, বিপ্লব ফকির, মাহাবুব ফকির ও মোতাহার ফকিরসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী গতকাল রাত ৯ টার দিকে মধ্যম কামবেদপুর দুই নং ওয়ার্ডে রেভজীর ওপর হামলা চালায়। হামলায় রেভজীর হাতের কব্জির রগ কর্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাচনী কাজে বাহিরে থাকায় ডিউটি অফিসার অভিযোগ গ্রহণ করে বলে জানান আ’লীগের মমোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম মাহাবুবুর রহমান সেন্টুর সমর্থনকারীরা। এর আগে নির্বাচনের মাঠে প্রচারণা চালানোর সময় রেজভীকে একাধিকবার বিদ্রোহী প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা প্রাণের হুমকি দেয় এবং নির্বাচনী মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী মাঠ দখলে থাকায় তারা প্রচারণা চালিয়ে যায়। এতেই নারাজ হয় বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী মো. কবির হোসেন হাওলাদার। এ ঘটনার আগের দিন বিদ্রোহী প্রার্থী মো. কবির হোসেন তার সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী মাঠে ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগে পুলিশ তাকে আটকও করে। পরে তিনি থানায় মুছলেকা দিয়ে বের হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নলছিটি উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও আমাদের মোল্লারহাট ইউনিয়নে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। তার রয়েছে একদল সন্ত্রাসীবাহিনী এলাকায় মাদক-ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। বিদ্রোহী প্রার্থী মো. কবির হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে ৪টি হত্যা মামলাসহ মোট ১৮ মামলা। সূত্র- প্রথম সকাল।
