বরিশালে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে জৈনপুরী বড় হুজুরের খানকা !

বরিশাল জেলার সকল নদীতে পানি বেড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এ ভাঙ্গনে শ্রীপুরের কালাবদর নদীতে বিলীন হতে চলেছে জৈনপুরী বড় পীর সাহেবের মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকা।

এতে রাস্তা, বসতবাড়ি, দোকানপাট, ফসলি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের ভয়ে অনেকেই বাড়িঘর ও দোকানপাট অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এই খবর শোনার পরে জৈনপুরী বড় হুজুর স্থানীয় সকলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ১৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী জৈনপুরী বড় পীর সাহেব এর খানকা ও মসজিদ অবস্থিত।

আর এ ঐতিহ্যবাহী জৈনপুরী বড় পীর সাহেবের মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকা নদীভাঙনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ৩০ বছর আগের মসজিদ ও মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে রয়েছে খানকার পুরনো ঘর তাও যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন ।

তাই স্থানীয় সাখাওয়াত হোসেন রুবেল কাজী জৈনপুরী হুজুরের সাথে যোগাযোগ করে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে পরামর্শ করে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং খানকা মহিষ মারিতে দ্রুত স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জৈনপুরী বড় হুজুর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোঃ সাইফুল হাফিজ সিদ্দিকীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,
বাংলাদেশে এটি আমাদের প্রধান খানকা বিগত ২৪ বছর যাবত এই খানকায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং এ বছরে ৭৩ তম দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নদী ভাঙ্গন খুব কাছাকাছি চলে আসায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকাটি জরুরী অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য এলাকাবাসীসহ সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

এলাকাবাসীর অনেকেই জানান, শ্রীপুরের কালা বদর নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এখনই ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে এ এলাকার শত শত মানুষ ভিটে-মাটি হারা হবে ও ফসলি জমি নদীর পানিতে ডুবে যাবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin