কাঠমিস্ত্রি ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক

পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন অন্যের দোকানে শ্রমিক হিসেবে নিয়মিত কাজ করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতায় চতুর্থ শ্রেণি। তি‌নি জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পে‌য়ে‌ছেন।

এই তি‌নি হ‌চ্ছেন, জাহিদুল ইসলাম খান ওর‌ফে টনি। পি‌রোজপুর জেলার নাজিরপুর সদরের ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন অন্যের দোকানে শ্রমিক হিসেবে নিয়মিত কাজ করেন। তিনি স্থানীয় মো. আনছার আলী খানের ছেলে।

এ ঘটনায় নাজিরপুরসহ জেলাজুড়ে সংগঠনের মধ্যে পদবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জা‌হিদুল ইসলাম খান টনি বলেন, আমাকে কী কারণে পদ দেওয়া হয়েছে, তা জানি না। আমি বিএনপিকে মনে-প্রাণে ভালোবাসি। তবে আমার থেকেও অনেক অযোগ্যদেরও পদ দেওয়া হয়েছে।

এ সময় টনির কর্মস্থলে বসে তার কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করার ছবি তুলতে চাইলে তিনি ছবি না তুলতে অনুরোধ করে আরও বলেন, ‘পদ যখন পেয়েছি, তখন এ ব্যাপারে নিউজ করে আমাকে ও দলকে অপমানিত করবেন না।

জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রদলের ৩৪৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
এতে ৬৬ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করায় কমিটির ২২১ নম্বরে স্থান পেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম খান টনি।

নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শামিম হাওলাদার বলেন, টনি কখনো ছাত্রদল করেননি। তাকে ছাত্রদলের কোনো সভা-মিছিলেও দেখা যায়নি। জেলা কমিটি আমাদের (উপজেলা) সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই কয়েকজনকে পদ দিয়েছে। এতে প্রকৃত ছাত্রদলের কর্মীরা পদবঞ্চিত হয়েছেন।

জেলা ছাত্রদলের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি মো. তানজিদ হাসান শাওন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি কীভাবে বা কাদের লবিংয়ে জেলাজুড়ে এমন আরও কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে জেলা কমিটিতে স্থান দিয়েছে তা আমার জানা নেই।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin